বাংলাদেশ এর সিনেমার ইতিহাস নিয়ে এই পোস্ট এ থাকছে বিশেষ রচনা, যারা আগের র্পব পড়েন নাই, তারা নিচের লিঙ্ক এ ক্লিক করুন।
যারা সিনেমা সম্পর্কে জানেন তারা তাদের রচনা লিখে Microsoft Word ( .doc format ) এ dhallywoodreporter@gmail.com এই email address এ আপনার
পরিচয় সহ পাঠান। আমারা আপনার লিখা পরিচয় সহ পোস্ট করব।
Bangladeshi Film History , Part 02
Bangladeshi Film History , Part 03
Bangladeshi Film History , Part 04
জুরি বোর্ড কোনো সিনেমাকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য যোগ্য মনে না করায় ১৯৮১ সালে এ পুরস্কার দেওয়া হয়নি। তবে ১৯৮২ সালে ১৬টি ক্যাটেগরিতে আবারও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। ‘বড় ভালো লোক ছিলো’ সিনেমাটির নির্মাতা মোহাম্মদ মহিউদ্দিন শ্রেষ্ঠ পরিচালক, সৈয়দ শামসুল হক সংলাপ রচয়িতা, রাজ্জাক শ্রেষ্ঠ অভিনেতা, প্রবীর মিত্র শ্রেষ্ঠ পার্শ্বঅভিনেতা, আলম খান সঙ্গীত পরিচালক, এন্ড্রু কিশোর সেরা গায়কের পুরস্কার পান। ‘দুই পয়সার আলতা’-এর জন্য শাবানা অভিনেত্রী, মিতালী মুখার্জী সেরা গায়িকা, আওকাত হোসেন সেরা চিত্র সম্পাদক, রফিকুল বারী চৌধুরী (সাদা কালো) পুরস্কার অর্জন করেন। ‘রজনীগন্ধা’ সিনেমার পার্শ্বঅভিনেত্রী আয়শা আখতার ও গীতিকার মাসুদ করিম সেরা পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া চলচ্চিত্র ‘মোহনা’-র জন্য আলমগীর কবির সেরা চিত্রনাট্যকার, শফিকুল ইসলাম স্বপন ‘নালিশ’-এর জন্য সেরা চিত্রগ্রাহক (রঙিন), বেবী বিন্দী ‘লাল কাজল’-এর জন্য শিশুশিল্পী এবং বাংলাদেশ টেলিভিশন (ম. হামিদ) নির্মিত ‘ল্যাথারিজম’ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের জন্য পুরস্কার পান। তবে সৈয়দ শামসুল হক তার পুরস্কারটি নেননি।
সত্য সাহা প্রযোজিত ‘পুরস্কার’ ১৯৮৩ সালের সেরা চলচ্চিত্রের খেতাব অর্জন করে। এই সিনেমাটির চিত্রনাট্যকার ও সংলাপ রচয়িতা সৈয়দ শামসুল হক, পার্শ্বঅভিনেতা শাকিল ও চিত্রগ্রাহক (সাদা কালো) আনোয়ার হোসেন পুরস্কার পান। ‘লালু ভুলু’ চলচ্চিত্রটির পরিচালক কামাল আহমেদ পরিচালক, সোহেল সেরা অভিনেতার, ‘নাজমা’তে অভিনয়ের জন্য শাবানা সেরা অভিনেত্রী, ‘নতুন বউ’-এর জন্য সুবর্ণা মুস্তাফা সেরা পার্শ্বঅভিনেত্রী, অরুণ রায়কে ‘জনি’-র জন্য সেরা চিত্রগ্রাহক (রঙিন) পুরস্কার অর্জন করেন। তবে এ বছরে সুবর্ণা তার পুরস্কারটি গ্রহণ করেননি।
১৯৮৪ সালে ‘ভাত দে’ সিনেমাটি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের পুরস্কারসহ মোট নয়টি শাখায় পুরস্কার জেতে। সিনেমাটির প্রযোজক আবু জাফর খান, পরিচালক, চিত্রনাট্যকার ও সংলাপ রচয়িতার জন্য আমজাদ হোসেন, অভিনেত্রী শাবানা, চিত্র সম্পাদক মুজিবুর রহমান দুলু, শিল্প নির্দেশক অঞ্জন ভৌমিক, শব্দ গ্রাহক এমএ বাসেত ও শিশুশিল্পী আঁখি পুরস্কার পান। অভিনেতা রাজ্জাক, পার্শ্বঅভিনেতা সিরাজ, সঙ্গীত পরিচালক খন্দকার নুরুল আলম, গীতিকার মোহাম্মদ রফিকুজ্জামান, গায়িকা সাবিনা ইয়াসমিন ‘চন্দ্রনাথ’-এর জন্য পুরস্কার পান। আনোয়ার পার্শ্বঅভিনেত্রীর পুরস্কার পান ‘সখিনার যুদ্ধ’-এর জন্য। সুবীর নন্দী গায়ক-এর পুরস্কার পান ‘মহানায়ক-এর জন্য। ‘নয়নের আলো’ সিনোমার চিত্রগ্রাহক (সাদা কালো)-এর পুরস্কার পান বেবী ইসলাম এবং রঙিন সিনেমা ‘অভিযান’-এর জন্য সেরা হন মাহফুজুর রহমান। এ বছর মোরশেদুল ইসলাম নির্মিত ‘আগামী’ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের জন্য পুরস্কার পান।
১৯৮৫ সালে কাহিনীকার ও পরিচালকের পুরস্কার পান শেখ নিয়ামত আলী এবং পার্শ্বঅভিনেতার পুরস্কার পান আবুল খায়ের। ‘মা ও ছেলে’-এর জন্য চিত্রনাট্যকার হন ইসমাইল মোহাম্মদ ও অভিনেতা ও পার্শ্বঅভিনেত্রী হন আলমগীর ও রেহানা। ‘রামের সুমতি’র জন্য অভিনেত্রী ও শিশুশিল্পী হন ববিতা ও মাস্টার জয়। ‘তিন কন্যা’ সিনেমার সঙ্গীত পরিচালক আলম খান ও চিত্র সম্পাদক মুজিবর রহমান দুলু সেরার পুরস্কার অর্জন করেন। এ বছর গীতিকার আলাউদ্দিন আলী, গায়িকা সাবিনা ইয়াসমিন, চিত্রগ্রাহক (রঙিন) বেবি ইসলাম ‘প্রেমিক’ সিনেমার জন্য পুরস্কার জেতেন।
‘শুভদা’ চলচ্চিত্রটি ১৯৮৬ সালে সর্বাধিক ১২টি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতে নেয়। চলচ্চিত্র (প্রযোজক এ কে এম জাহাঙ্গীর খান), পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম, অভিনেতা গোলাম মুস্তাফা, অভিনেত্রী আনোয়ারা, পার্শ্বঅভিনেত্রী জিনাত, সঙ্গীত পরিচালক খন্দকার নুরুল আলম, গীতিকার মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান, গায়ক সুবীর নন্দী, গায়িকা নীলুফার ইয়াসমিন, চিত্রগ্রাহক (সাদা কালো ও রঙিন) সাধন রায়, শিল্প নির্দেশক আব্দুস সবুর, শব্দগ্রাহক এমএ বাসেত পুরস্কার জেতেন। এ বছর ‘পরিণীতা’ সিনেমাটির অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন (গোলাম মুস্তাফার সঙ্গে যৌথভাবে), অভিনেত্রী অঞ্জনা ও পার্শ্বঅভিনেতা আশীষ কুমার লোহ সেরার পুরস্কার পান। এয়াড়া শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পীর পুরস্কার জেতেন ‘মায়ের দাবি’র জন্য কামরুন্নাহার আজাদ স্বপ্না।
১৯৮৭ সালে ‘দায়ী কে’ সিনেমার জন্য সেরা কাহিনীকারের পুরস্কার জেতেন আবুল হায়াত। এই সিনেমায় অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার জেতেন এটিএম শামসুজ্জামান ও পার্শ্বঅভিনেতার পুরস্কার জেতেন আনোয়ার হোসেন। এ বছর এই দু’টি পুরস্কার যৌথভাবে অর্জন করেন। এই শাখায় পুরস্কার জেতেন যথাক্রমে আলমগীর (অপেক্ষা) ও আবুল খায়ের (রাজলহ্মী শ্রীকান্ত)। পরিচালক এজে মিন্টু (লালু মাস্তান), চিত্রনাট্যকার দিলীপ বিশ্বাস (অপেক্ষা), অভিনেত্রী শাবানা (অপেক্ষা), চিত্র সম্পাদক আমিরুল ইসলাম মিন্টু (অপেক্ষা), পার্শ্বঅভিনেত্রী দীতি (স্বামী স্ত্রী), (সারেন্ডার) সঙ্গীত পরিচালক আলম খান ও গায়ক এন্ড্রু কিশোর, গায়িকা সাবিনা ইয়াসমিন (রাজলহ্মী শ্রীকান্ত), চিত্রগ্রাহক (সাদা কালো) আবুল খায়ের (সেতুবন্ধন), চিত্রগ্রাহক (রঙিন) মাহফুজুর রহমান (সহযাত্রী), শিল্প নির্দেশক শরফুদ্দীন ভূইয়া (হারানো সুর), শব্দ গ্রাহক মহিফুজুল হক পুরস্কার পান।
চলচ্চিত্র ‘দুই জীবন’ ১৯৮৮ সালে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র (প্রযোজক সূচনা চলচ্চিত্র), পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার আব্দুল্লাহ আল মামুন, গীতিকার মনিরুজ্জামান মনির, গায়িকা সাবিনা ইয়াসমিন, চিত্র সম্পাদক আতিকুল রহমান মল্লিক পুরস্কার জিতে নেয়। এ বছর ‘যোগাযোগ’ এ অভিনয়ের জন্য অভিনেতা রাজ্জাক, সঙ্গীত পরিচালক আলাউদ্দিন আলী ও শব্দগ্রাহক মফিজুল হক অর্জন করেন। রোজিনা ‘জীবনধারা’ সিনেমায় অভিনয় করে অভিনেত্রীর পুরস্কার পান ‘হীরামতি’তে অভিনয় করে। পার্শ্বঅভিনেতা ও চিত্রগ্রাহক (রঙিন)-এর পুরস্কার জিতে নেন যথাক্রমে রাজিব ও রফিকুল বারী চৌধুরী। পার্শ্বঅভিনেত্রীর পুররস্কার পান সুবর্ণা শিরিন (বিরাজ বৌ), শিল্প নির্দেশকের পুরস্কার পান আব্দুল খালেক (আগমন) এবং শিশুশিল্পীর পুরস্কার পান মাস্টার তুষার (আগমন)। শিশুশিল্পী শাখায় বিশেষ পুরস্কার অর্জন করেন বেবি জয়া (ভেজা চোখ)। স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র হয় ‘আবর্তন’। এবং ফিরোজা রহমান টিনাকে মরণোত্তর বিশেষ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।
আগের পোস্ট ------------------------------------------------------------------------------------------------------ পরের পোস্ট
0 comments:
Post a Comment