বাংলাদেশ এর সিনেমার ইতিহাস নিয়ে এই পোস্ট এ থাকছে বিশেষ রচনা, যারা প্রথম পর্ব পড়েন নাই, তারা নিচের লিঙ্ক এ ক্লিক করুন।
যারা সিনেমা সম্পর্কে জানেন তারা তাদের রচনা লিখে Microsoft Word ( .doc format ) এ dhallywoodreporter@gmail.com এই email address এ আপনার
পরিচয় সহ পাঠান। আমারা আপনার লিখা পরিচয় সহ পোস্ট করব।
যাই হোক, ১৯২৭-২৮ সালে ঢাকায় প্রথম চলচ্চিত্র তৈরি হয়। নওয়াব পরিবারের কয়েকজন সদস্য ও সংস্কৃতিসেবী নির্মাণ করেন ‘সুকুমারী’ ও ‘দি লাস্ট কিস’। এই দু’টি চলচ্চিত্রই পরিচালনা করেন অম্বুজ গুপ্ত। এরপর বিক্ষিপ্তভাবে ‘ইন আওয়ার মিডস্ট (১৯৪৮)’, ‘সালামত (১৯৫৪)’, ‘বন্যা (১৯৫৪)’ ‘আপ্যায়ন (১৯৫৪), ইত্যাদি বেশকিছু স্বল্পদৈর্ঘ্য, প্রামাণ্য, তথ্য ও প্রচারচিত্র নির্মিত হয়। ১৯৫৬ সালে আব্দুল জব্বার নির্মাণ করেন ঢাকার প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য সবাক চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’। সেকালে ঢাকায় সিনেমাকে বলা হতো ‘বায়োস্কোপ’। চলচ্চিত্র যখন সবাক হতে শুরু করলো, তখন একে বলা হলো ‘টকি’, পরে তা ‘মোশন পিকচার’ নামে পরিচিতি পায়।
১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল তৎকালীন শিল্পমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান (বঙ্গবন্ধু, পরে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি) উত্থাপিত বিলের মাধ্যমে পূর্ব পাকিস্তান চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থা (ইপিএফডিসি) প্রতিষ্ঠিত হলে এর সহযোগিতায় ১৯৫৯ সালে থেকে প্রতিবছর চলচ্চিত্র মুক্তি পেতে থাকে। এফডিসি ছাড়াও পপুলার স্টুডিও, বারী স্টুডিও এবং বেঙ্গল স্টুডিও বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে বিরাট ভূমিকা পালন করে। স্বাধীনতা লাভের পরে এই প্রতিষ্ঠানটির নামকরণ করা হয়, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থা (বিএফডিসি)। ১৯৭১ সাল পরবর্তী সময়ে এই স্থাপনাটিই দেশের চলচ্চিত্রের বাতিঘরে পরিণত হয়। আর সদ্য স্বাধীন হওয়া দেশটির প্রগতিশীল, সংস্কৃতিমনা কিছু মানুষ এই শিল্পটির কাঠামো তৈরিতে কাজে নেমে পড়েন। প্রথম দিকে এই শিল্পটি খুড়িয়ে চললেও এক সময় তা পূর্ণোদ্যমে কাজ শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭৫ সাল থেকে তৎকালীন সরকার দেশের চলচ্চিত্রের মান উন্নয়নে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের প্রবর্তন করেন। সেই বিবেচনায় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া সিনেমাগুলোকেই বাংলাদেশের সেরা চলচ্চিত্র হিসেবে বিবেচনা করতে পারি।
0 comments:
Post a Comment