হুমায়ূন আহমেদ নির্মিত শেষ চলচ্চিত্র ‘ঘেটুপুত্র কমলা’ মুক্তি পাচ্ছে ৭ সেপ্টেম্বর ঢাকার বলাকা সিনেওয়ার্ল্ড ও স্টার সিনেপ্লেক্সে। সিনেমার কাহিনী, সংলাপ, চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন হুমায়ূন আহমেদ। সিনেমাটি প্রযোজনা করেছে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম।
ইমপ্রেস টেলিফিল্মের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্যায়ক্রমে এটি সারা দেশে মুক্তি পাবে। এর কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন শিশুশিল্পী মামুন। আরো অভিনয় করেছেন তারিক আনাম খান, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, মুনমুন আহমেদ, মাসুদ আখন্দ, তমালিকা কর্মকার, শামিমা নাজমিন, প্রাণ রায়, বাউলশিল্পী কুদ্দুস বয়াতী ও তার দল, অনি, প্রাপ্তি, আইনুন নাহার পুতুল, আব্দুল্লাহ রানা, রফিকুল ইসলাম, এহসান প্রমুখ।
চলচ্চিত্রটির শুটিং হয়েছে হবিগঞ্জে। এর চিত্রগ্রহণ করেছেন মাহফুজুর রহমান খান ও আবহ সঙ্গীত করেছেন ইমন সাহা। সঙ্গীত পরিচালক ছিলেন মাকসুদ জামিল মিন্টু ও এস আই টুটুল। কণ্ঠশিল্পী ছিলেন ফজলুর রহমান বাবু, শফি মণ্ডল ও প্রান্তি। কোরিওগ্রাফি করেছেন মেহের আফরোজ শাওন। শিল্প নির্দেশক ছিলেন মাসুম রহমান। সম্পাদনা করেছেন ছলিম উল্লাহ ছলি।
কাহিনী সম্পর্কে জানানো হয়েছে, প্রায় দেড়শ’ বছর আগে হবিগঞ্জ জেলার জলসুখা গ্রামের এক বৈষ্ণব আখড়ায় ঘেটুগান নামে নতুন সঙ্গীত ধারা সৃষ্টি হয়েছিলো। মেয়ের পোশাক পরে কিছু রূপবান কিশোর নাচগান করতো। এদের নামই ঘেটু। গান হতো প্রচলিত সুরে, যেখানে উচ্চাঙ্গসঙ্গীতের প্রভাব ছিলো স্পষ্ট। অতি জনপ্রিয় এই সঙ্গীত ধারায় নারীবেশে কিশোরদের উপস্থিতির কারণেই এর মধ্যে অশ্লীলতা ঢুকে পড়ে। বিত্তবানরা এসব কিশোরকে যৌনসঙ্গী হিসেবে পাবার জন্যে লালায়িত হতে শুরু করেন। একসময় সামাজিকভাবে বিষয়টা স্বীকৃতি পেয়ে যায়। হাওর অঞ্চলের শৌখিনদার মানুষ জলবন্দি সময়টায় কিছুদিনের জন্যে হলেও ঘেটুপুত্র নিজের কাছে রাখবেন, এই বিষয়টা স্বাভাবিকভাবে বিবেচিত হতে থাকে। শৌখিন মানুষের স্ত্রীরা ঘেটুপুত্রকে দেখতেন সতীন হিসেবে।
0 comments:
Post a Comment