‘বেবো’ থেকে ‘বেগম’, কারিনা কাপুরের পাঁচ বছরের এই যাত্রা এক নতুন মোড় নিয়েছে ১৬ অক্টোবর। অভিনয় জীবনে সাফল্য পেয়েছেন অনেক আগেই, এবার ছিল ব্যক্তিগত জীবনের পালা। ২০০৭ সালে অভিনেতা সাইফ আলি খানের সঙ্গে এক সিনেমায় কাজ করতে গিয়ে পরিচয় এবং প্রণয়, বাকিটা এখন ইতিহাস। সারা বিশ্বকে এবং বিশেষ করে পুরো বলিউডবাসীকে নানা জল্পনা কল্পনার সুযোগ দিয়ে অবশেষে ১৬ অক্টোবর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন বলিউডের এই তারকা জুটি। তাদের এই বিয়ে নিয়ে ভক্তদের যেমন আগ্রহের কমতি ছিলো না, তেমনি মিডিয়ারও ছিল উপচে পড়া কৌতূহল। কাপুর খানদানের সঙ্গে পতৌদির নবাবদের মেলবন্ধন- সাইফিনার এই বিয়ে নিয়ে সবার আগ্রহের মূল কারণ, এই দুই পরিবারের পূর্বপুরুষদের বিয়ের দীর্ঘ ‘ফিল্মি’ ইতিহাস। সাইফিনার বিয়ে এবং তাদের অগ্রজদের বিয়ের ইতিহাস জানাচ্ছেন জেনিফার ডি প্যারিস।
এমনকি কারিনার বাবা রণধীর কাপুর এবং মা ববিতারও পরিচয় হয় সিনেমায় কাজ করতে গিয়েই। এক সময়ের অভিনেত্রী ববিতা রণধীর কাপুরের সঙ্গে প্রথম পরিচিত হন ‘কাল আজ ঔর কাল’ সিনেমার সেটে। তবে এবার কারিনার দাদা তাদের সামনে রেখেছিলেন নতুন শর্ত, ববিতাকে নিজের ফিল্মি ক্যারিয়ার ছেড়ে দিতে হবে। কাপুর পরিবারের একটি নিয়ম হল এখানে মেয়েদের শোবিজে কাজ করা নিষিদ্ধ। সেই শর্ত মেনে নিয়েই কাপুর বধূ হয়েছিলেন ববিতা। তবে ববিতা অভিনয় ছেড়ে দিলেও শেষ পর্যন্ত তাদের বিয়ে টেকেনি, পরবর্তীতে ববিতা কাপুর তার দুই কন্যা কারিশমা এবং কারিনাকে নিয়ে আলাদা হয়ে যান। অদ্ভুত ব্যাপার হল ববিতা এবং রণধীর কাপুর কখনোই ডিভোর্স করেননি একে অপরকে। কাপুর পরিবারের ছায়া থেকে সরে যাবার পর ববিতা তার কন্যাদের অভিনয়ে আসার সুযোগ করে দিয়েছিলেন।
সাইফিনার বিয়ে নিয়ে মিডিয়াতে গত কয়েকদিন ধরে চলছে তুমুল ঝড়। বলিউডের প্রায় সব তারকাই আন্তরিকতার সঙ্গে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এই নব বিবাহিত জুটিকে। সাইফিনার বিয়ের পরের দিন সকালে শাহরুখ খান ফেইসবুকে লেখেন, ‘সাইফ-কারিনা, কত সুন্দর একটি জুটি! আমি তাদের জন্য শুধুই সুখ কামনা করছি। ধন্যবাদ জানাই চমৎকার ডিনার, আতিথেয়তা এবং নাচের জন্য।’
0 comments:
Post a Comment