ভারতীয় চলচ্চিত্রের শতবর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত উৎসবের প্রতিবাদ করেছে বাংলাদেশের
চলচ্চিত্রাঙ্গনের নেতৃবৃন্দ। উৎসবে প্রদর্শনের জন্য তথ্য মন্ত্রণালয় ও বিএফডিসির
আমলাদের সিনেমা বাচাই করা নিয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিবাদ করেছে চলচ্চিত্র
সংশ্লিষ্ট ছয়টি সংগঠন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাংসদ ও সিনিয়র অভিনেত্রী সাহারা বেগম
কবরী।
সাংবাদিক সম্মেলনে কবরী বলেন, ‘আমি তথ্য
মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য। এ রকম একটি উৎসব হচ্ছে অথচ আমাকে কিছুই
জানানো হয়নি। আমি হতবাক হয়ে যাই, যখন দেখি উৎসবে
আব্দুল জাব্বার ও জহির রায়হান, খান আতাউর
রহমানসহ আরো অনেক গুণি নির্মাতাদের সিনেমা এই উৎসবে নেই। এই সিনেমাগুলো কে
নির্বাচন করেছেন? কেন সিনেমা সংশ্লিষ্ট
কোনো সংগঠনের কাউকে এই উৎসবে সম্পৃক্ত করা হয়নি। আমি তথ্য সচিব এবং মন্ত্রী
মহোদয়ের কাছে জানতে চাই।’
পরিচালক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ হান্নান বলেন, ‘এখানে ভারতীয় অভিনেতা এবং পরিচালককে সম্মাননা জানানো হয়েছে
অথচ আমাদের দেশের কাউকে কোনো সম্মাননা জানানো হয়নি। তাহলে কেন এই উৎসবের সঙ্গে
বাংলাদেশের নাম যুক্ত করা হলো। কেন আমাদের কাউকে যুক্ত করা হলো না ?’
পরিচালক সমিতির সাবেক সভাপতি শহীদুল ইসলাম খোকন বলেন, পীযুষ দা আসার পর দেখছি, আমাদের কোনো অনুষ্ঠানেই যুক্ত করা হচ্ছে না। উনি যদি আমাদের
ছাড়া এফডিসি চালাতে চান তাহলে বলুক, আমরা এফডিসি ছেড়ে চলে যাই।
২ সেপ্টেম্বর এফডিসিতে এই সাংবদ সম্মেলনটি যৌথভাবে আয়োজন করে, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক-পরিবেশক, পরিচালক, শিল্পী, চিত্রগ্রাহক, সম্পাদক, এবং সহপরিচালক সমিতি। চলচ্চিত্রাঙ্গনের
নেতারা বক্তব্যে দেশের সিনেমা হলে হিন্দি সিনেমা প্রদর্শনের প্রক্রিয়ার সমালোচনা
করেন এবং সবাইকে এর প্রতিবাদ করার জন্য আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, ভারতীয় হাই কমিশনের
ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থা যৌথভাবে
জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে ১ সেপ্টেম্বর থেকে ভারতীয় চলচ্চিত্রের শতবর্ষ উদযাপন
উপলক্ষে এই উৎসব আয়োজন করেছে। উৎসবে হিন্দিসহ বিভিন্ন ভাষার মোট ২৩টি সিনেমা
প্রদর্শীত হবে। এর মধ্যে বাংলাদেশের সিনেমা আছে ৮টি। উৎসব শেষ হবে ৮ সেপ্টেম্বর।
0 comments:
Post a Comment